News Details | Gaibandha Pourosova
ঐতিহাসিক ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পৌর মেয়রের শ্রদ্ধা
প্রকাশের সময়: 12 Mar, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন গাইবান্ধা পৌরসভার মেয়র মতলুবর রহমান। সোমবার (৭ মার্চ) সকালে পৌর পার্কে অবস্থিত জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর মেয়র স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন। ওই ভাষণে তিনি বাঙালির দীর্ঘদিনের লালিত স্বাধীনতা অর্জনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতাকামী লাখো জনতার উদ্দেশে দেওয়া তাঁর কালজয়ী ভাষণে বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী “পঞ্চাশে অদম্য বাংলাদেশ” উপলক্ষে বিকেলে পৌর শহীদ মিনার চত্ত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন গাইবান্ধা পৌরসভার মেয়র মতলুবর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি এমপি। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হুইপ বলেন,“ বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর বাঙালি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। মুক্তিযুদ্ধকালে বজ্রকণ্ঠের এই ভাষণ রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনুপ্রাণিত করে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধে পরাজিত করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বমানচিত্রে স্থান করে নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ।”

সভাপতি গাইবান্ধা পৌরসভার মেয়র বলেন,“ মুক্তিকামী মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রেরণার উৎস। বঙ্গবন্ধুর অমর সেই ভাষণ আজও কোটি কোটি মানুষকে উদ্দীপ্ত করে। শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রামের পথ দেখায়। তাই বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ নিয়ে আরও গবেষণা হতে পারে।” 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মো: অলিউর রহমান, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, সহ-সভাপতি ফরহাদ আব্দুল্ল্যাহ হারুন বাবলু, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার মাহমুদুল হক শাহজাদা প্রমূখ।